সিলেট-২ আসনে সাত প্রার্থীর চারজনই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন

একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছেন সিলেট–২ আসনের চার প্রার্থী। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপি হচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী। এ আসনে মোট প্রার্থী সাতজন। আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার একটি মিষ্টির দোকানে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে চার প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রার্থীরা হলেন গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান (ট্রাক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী এবং তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আবদুর রব (সোনালী আঁশ)।

আরও পড়ুনঃ

সিলেট-২ আসনে সাত প্রার্থীর চারজনই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন

নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাঙ্গলের প্রার্থীর ভোট বর্জন

আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে: জি এম কাদের

সংবাদ সম্মেলনে চার প্রার্থী বলেন, সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে। অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজে সহযোগিতা করছে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অভিযোগ করেও ফল পাওয়া হয়নি। এটা পুরোপুরি প্রহসনের নির্বাচন। তাই এ নির্বাচন বন্ধ করে দ্রুত আরেকটি নির্বাচন এ আসনে করা হোক।

সিলেট-২ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনোয়ার হোসাইন (আম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের জহির (ডাব)।

চার প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাননি।

এদিকে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে সিলেট–৪ (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট এবং জৈন্তাপুর) আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেনও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।