পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক ট্রলারে ১৬ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার জেলে সিদ্দিক মিয়ার ট্রলারে গত ১০ দিনে ইলিশগুলো ধরা পড়ে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরে ওই জেলে মাছগুলো ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
ট্রলারের মালিক সিদ্দিক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ১০ দিন আগে ১৬ জেলেকে নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যান তিনি। কয়েক দিনে ধরা পড়া ইলিশগুলো তিনি ট্রলারে মজুত করে রাখেন। এর মধ্যে গতকাল সোমবার সকালে তাঁদের জালে সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়ে।
সিদ্দিক মিয়া আরও বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া অন্য জেলেদের তুলনায় তিনিই বেশি মাছ পেয়েছেন। বেশি মাছ ধরা পড়ায় ট্রলারের জেলেরাও সবাই খুশি। আজ মহিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরে মা-বাবার দোয়া মৎস্য আড়তে ৬২ হাজার টাকা মণ দরে ইলিশগুলো বিক্রি করেন। ইলিশের আকার ছিল ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত।
‘ইলিশ কি ডিজেল খায়’
তবে অধিকাংশ ট্রলারের জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন মহিপুর মৎস্য আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. ফজলু গাজী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত মাসে বঙ্গোপসাগরে অনেক ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অনেক জেলে মারাও গেছেন। এরপর আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় জেলেরা আবার মাছ ধরতে সাগরে যান। তবে সেভাবে আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা। সেদিক থেকে সিদ্দিক মিয়া ভাগ্যবান। অন্যদের তুলনায় তিনি অনেক ইলিশ পেয়েছেন। দামও ভালো পেয়েছেন তিনি।
ইলিশ ধরা না পড়ার কারণ উল্লেখ করে ব্যবসায়ী ফজলু গাজী আরও বলেন, সাগরে পুবের বাতাস বইছে। তা ছাড়া বৃষ্টিও নেই। এ জন্য জালে সেভাবে ইলিশ পড়ছে না।