পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ‘সালানা জলসা’ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল চলাকালে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৭।

এদিকে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে নতুন করে আরও চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় দুটি ও বোদা থানায় দুটি মামলা হয়। এতে মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ২০। এর মধ্যে সদর থানায় মামলার সংখ্যা ১৫। বোদা থানায় মামলার সংখ্যা ৫। এসব মামলায় আসামি ১৩ হাজারের বেশি।

পঞ্চগড় জেলা শহর, আহম্মদনগর ও শালশিড়িতে আহমদিয়া সম্প্রদায়–অধ্যুষিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান ও নজরদারি অব্যাহত আছে। ঘটনার পর থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ১৬টি মামলায় ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রেপ্তার–আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আজ সকালে জেলা পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, জেলার পরিবেশ বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। এখন পর্যন্ত মোট ২০টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮৭ জনকে।

পঞ্চগড় শহরের পাশে আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া জামাতের জলসা বন্ধের দাবিতে গত ৩ মার্চ (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর পঞ্চগড় শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের করা হয়। এতে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একদল বিক্ষোভকারী আহম্মদনগর এলাকায় গিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত হন শতাধিক মানুষ।