ভারতে যাওয়ার সময় আটক নিজাম হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারীকে কারাগারে প্রেরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে আটক মোহাম্মদ ফরিদ মানিকছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক ফেনীর সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) মোহাম্মদ ফরিদ মানিক ওরফে পিএস মানিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে আটক করেন আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সদস্যরা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁকে আখাউড়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. খাইরুল আলম জানিয়েছেন, মোহাম্মদ ফরিদ মানিক সীমান্ত দিয়ে ভারতের আগরতলায় যাওয়ার জন্য আখাউড়া সীমান্তে পৌঁছান। তাঁর ভ্রমণ ভিসা রয়েছে। কিন্তু দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁকে আগরতলায় যেতে দেওয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁকে আটক দেখিয়ে আখাউড়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ফরিদ মানিক ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ (ফেনী সদর উপজেলা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে পরিচিত। নিজাম উদ্দিনের হয়ে ফরিদ মানিক নানা অপকর্ম করে এলাকায় আলোচিত হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ফেনী থানার একটি সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল সেতুর নিচের এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে মো. সবুজ নামের এক ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। গত সোমবার রাতে নিহত সবুজের ভাই মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ৬৫ জনকে আসামি করে ফেনীর সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মোহাম্মদ ফরিদ মানিককে আসামি করা হয়। ফেনীর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন প্রথম আলোকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন প্রথম আলাকে বলেন, ফরিদ মানিককে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৫৪ ধারায় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও সেখানে ফেনীতে করা হত্যা মামলার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ফেনী পুলিশ পরে তাঁকে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নিয়ে যাবেন।