ঈশ্বরদীতে এবার পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ

পাবনার ঈশ্বরদী রেলগেট এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় রেললাইনে কাগজ ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধের চেষ্টা করা হয়। তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে
ছবি: প্রথম আলো

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এর আঘাতে পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে গেছে। এ সময় দুটি গুলির আওয়াজও শোনা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষেরা। তবে পুলিশ গুলির ঘটনা স্বীকার করেনি।

বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুই থেকে আড়াই শ যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে রেলগেট এলাকায় হাজির হন। তাঁরা সেখানে কাগজ ও টায়ারে আগুন লাগিয়ে অবরোধ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল সেখানে হাজির হয়। পুলিশের গাড়িটি ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র গাড়িটি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ও দুটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ককটেল পুলিশের গাড়িতে লেগে গাড়ির কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ পাল্টা ধাওয়া দিলে উপস্থিত যুবকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুটি মিছিল দুই দিক থেকে আসছিল। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি মাঝখানে পড়ে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়িটির ওপর হামলা চালান। এতে গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে গেছে। গাড়িটিতে একটি ককটেলের আঘাতও লেগেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। র‍্যাব, পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবির টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।

আরও পড়ুন

এর আগে গত বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের লোকশেড এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভোরে ট্রেনটি কলকাতা থেকে ঢাকার দিকে যাত্রা করে। দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। যাত্রাবিরতি শেষে জংশন স্টেশন থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই লোকশেড এলাকায় ট্রেনটি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা ককটেল ও পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে ট্রেনের জানালার কাচ ফেটে যায়। ট্রেনের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তবে চালক দ্রুত ট্রেন চালিয়ে বাইপাস স্টেশন ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশে চলে যান। ঘটনার পর স্টেশনে বিজিবি মোতায়েনসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এর মধ্যেই শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে একটি বোমা পাওয়া যায়। র‍্যাব বোমাটি উদ্ধার করে ধ্বংস করে।

আরও পড়ুন