হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ৫০৪ নম্বর কক্ষে চিকিৎসা নিচ্ছেন খাইরুল। তাঁর ডান চোখের ওপরের অংশ কেটে যাওয়ায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ডান হাত ও ডান পায়ের বিভিন্ন অংশে জখম হয়েছে। ৫০৬ নম্বর কক্ষে চিকিৎসা নিচ্ছেন ইয়াকুব আলী। তিনি শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন।
ইয়াকুব আলী বলেন, পাঁচ মাস হলো তিনি এই ভবনে মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছেন। গতকাল ছাদ ঢালাইয়ের সময় ঢালাই সমান করার কাজ করছিলেন তিনি। ছাদের যে অংশে তিনি কাজ করছিলেন, ঠিক সে অংশটিই ধসে পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার পায়ে বুট ও মাথায় নিরাপত্তা হেলমেট থাকায় গুরুতর আহত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছি। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমাদের চিকিৎসার ব্যয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টার লাইট থেকে বহন করা হচ্ছে।’
আজ সকাল ১০টার দিকে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, ছাদ ধসে পড়া ভবনটির সামনে অলস বসে আছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। ভবনটি গতকালের মতোই পড়ে আছে। এখনো শুরু হয়নি ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। বেলা ১১টার দিকে ধসে পড়া ভবনটি পরিদর্শনে আসেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক দেবাশীষ পাল, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের পরিচালক মো. মঞ্জুর আহসান।
নির্মাণকাজে গাফিলতি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি আজ ভবনটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাভারের আশুলিয়ার গণকবাড়ি এলাকায় অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নির্মাণাধীন ভবনের দশম তলার ছাদ ধসে পড়ে। এতে ১৬ জন আহত হন।