ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার মামলায় সংস্কৃতিকর্মী শামীমের এক দিনের রিমান্ড
ময়মনসিংহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার সংস্কৃতিকর্মী শামীম আশরাফের (৩৮) এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হক এ আদেশ দেন।
ময়মনসিংহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ম অবমাননা ও সাইবার সুরক্ষা আইনের মামলায় শামীম আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত গতকাল রিমান্ড শুনানি না করে আজ শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। আজ শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শামীম আশরাফের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে নগরের কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন খেলাফত মজলিসের ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াসিন আরাফত। পরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, বেহেশত নিয়ে শামীম আশরাফের অবমাননাকর মন্তব্যে মুসলিম সমাজ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁর শাস্তির দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
শামীম আশরাফ ফেসবুকে নিজের পোস্টে একজনের মন্তব্যের জবাবে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে সেটি ছড়িয়ে পড়লে তাঁকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে অনেকে ফেসবুকে সরব হন। এরপর ওই দিন রাত নয়টার পর শামীম আশরাফ ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘আমার যে কমেন্টটি মানুষকে ব্যথা দিয়েছে, সে জন্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’ পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের আমলাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
শামীম আশরাফ ‘গ্রাফিটি’ নামে একটি মুদ্রণশিল্পের ব্যবসা পরিচালনা করেন।
পাশাপাশি ‘পরম্পরা’ নামের সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ডিবি পুলিশ রাতে তাঁকে আটকের পর তাঁর পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালায়। পরে রাতেই তাঁকে কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।