নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮, স্বজনকে দেখতে তাঁরা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন

ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাস দুমড়েমুচড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নাটোরে বড়াইগ্রামের আইড়মারী এলাকায়ছবি : প্রথম আলো

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ এলাকার জাহিদুল ইসলাম (৫৫),তাঁর স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), বোন রোউসনারা আক্তার ওরফে ইতি (৪৮), চাচাতো বোন আনোয়ারা খাতুন (৫৫), চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৫০), শাশুড়ি আনজুমান খাতুন (৬৫) ও শ্যালিকা সীমা খাতুন (৩৫) এবং মাইক্রোবাসচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ (৪২)।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ বিকেল নাগাদ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাহিদুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান কুয়েতপ্রবাসী। সোহানুরের স্ত্রী সাফিয়া বেগম সিরাজগঞ্জে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে দেখতে জাহিদুল ইসলাম স্বজনদের নিয়ে মাইক্রোবাসে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসের আট আরোহীর পাঁচজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তিদের স্বজন দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহতের মধ্যে আমার বেয়াইনও আছে। খবর শোনার পর বেয়াই মিজানুর রহমান নাটোরে চলে গেছেন। বাড়ির লোকজন কান্না করছে। নিহত প্রায় সবার বাড়ি পাশাপাশি।’

আরও পড়ুন

পুলিশ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।