এটা দেবর-ভাবির সম্পর্ক, এর বেশি অবনতি ঘটবে না

রংপুরে পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মসিউর রহমান
ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। দলের সব পদ–পদবি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাবেক এই মহাসচিব বলেছেন, ‘এরশাদের মৃত্যুতে দুটি জাতীয় পার্টি গঠিত হয়েছে। একটি রওশন এরশাদের নেতৃত্বে, আরেকটি জি এম কাদেরের। দুটোতেই আমাকে মহাসচিবের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। আমি দলটাকে না ভেঙে, টুকরা টুকরা না করে সবার সঙ্গে বসে সমাধান করেছিলাম। আমি তখন কাউন্সিলের মাধ্যমে মহাসচিব হয়েছিলাম। সেই কারণে আমি মনে করি, এটা দেবর-ভাবির সম্পর্ক, এর বেশি অবনতি ঘটবে না। এখন যা চলছে, এটাও মিটে যাবে।’

আজ সোমবার বিকেলে রংপুর নগরের দর্শনা এলাকার এরশাদ পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে গঙ্গাচড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতারা উপস্থিত থাকলেও রংপুর জেলা ও মহানগর জাপার কোনো নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

গত সেপ্টেম্বরে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের সব পদ-পদবি থেকে মসিউর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে এই অব্যাহতি দেন।

আরও পড়ুন

জি এম কাদেরের সঙ্গে তাঁর কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলে দাবি করেন মসিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘বরং উনি (জি এম কাদের) আমার সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি করে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। আমি এরশাদ সাহেব এবং জি এম কাদেরের সময় মহাসচিব ছিলাম। কাউন্সিলের মাধ্যমে আমি মহাসচিব হয়েছিলাম। উনি (জি এম কাদের) আমার প্রাথমিক সদস্যপদ পর্যন্ত বাতিল করে দিয়েছেন। অথচ এর কোনো কারণ জানাতে পারেননি। তবে আমি আশা করি, কোনো দ্বন্দ্ব থাকবে না, একসময় এটা ঠিক হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে মসিউর রহমান বলেন, জাতীয় পার্টি মানেই লাঙল। আর লাঙল যাঁর কাছে থাকবে, তিনিই হবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। দলের মহাসচিব রংপুরে যাঁকে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন, সেটা বৈধ হতে পারে না। কারণ, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। মহাসচিব অযাচিতভাবে মোস্তফাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। চেয়ারম্যান এখন আইনি সমস্যার কারণে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারছেন না। তবে এই সমস্যাও থাকবে না। দ্রুত সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন