চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত স্বাভাবিক, বিকেলে স্থানীয়দের সঙ্গে বিজিবির মতবিনিময়
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা ও কিরণগঞ্জের সীমান্ত পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্তে কাজ করতে যাওয়া কৃষকদের দেখা গেছে।
আজ সকালে চৌকা ও কিরণগঞ্জ সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থান কালীগঞ্জ মৌজায় টমেটো ও ধনেচাষি মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন থেকে তিনি জমিতে নিয়মিতই যাচ্ছেন। আজ সকালেও গেছেন। পাশের জমিতে বর্গাচাষি মজিবুর রহমান ও অন্যদের কাজ করতে দেখেছেন। সীমান্তের পরিস্থিতি ভালো হয়েছে।
বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শফিকুল ইসলাম, মো. বাদশা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল হাকিমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি রয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় কৃষকদের কাজ করতে দেখা গেছে। কৃষকদের পেছনে এপারে বিজিবি ও ওপারে বিএসএফ টহল দিচ্ছে। তবে গতকাল বুধবার বিকেলে সীমান্ত থেকে দূরে বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মোড়ে স্থানীয় লোকজন ভারতীয়দের হামলা ও ফসলের ক্ষতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।
সীমান্ত পরিস্থিতি বিষয়ে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে জমিতে কাজ করার জন্য কৃষক ছাড়া কেউ যেতে পারবেন না মর্মে সমঝোতা হয়েছে। কয়েক দিন থেকে এ পরিস্থিতি ঠিক রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আজ বিকেলে বাখেরআলী বাজারে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা ও কিরণগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি এলাকায় এ উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই দিন দুপুর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ভারতীয় নাগরিকদের হামলায় তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। দুই দেশের মানুষের পায়ের চাপায় ওই এলাকায় অন্তত সাত বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি হয়।