বাংলাদেশের সাহসী সাংবাদিকতায় নতুন ইতিহাস গড়ে চলেছে প্রথম আলো। মানুষের লড়াই-সংগ্রাম, আনন্দ-বেদনার গল্প তুলে ধরে পত্রিকাটি হয়ে উঠেছে দেশের মতোই দক্ষিণ এশিয়ার নির্ভরযোগ্য নাম। পথচলার প্রতিটি ধাপই ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা, তবু থেমে না গিয়ে প্রথম আলো শুধু সংবাদ পরিবেশনেই নয়, জনগণের শক্তি ও সচেতনতা জাগিয়ে তোলার কাজেও কাজ করে চলেছে। প্রথম আলো বাংলাদেশের মানুষের বিজয়ের সঙ্গী। সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক হিসেবেই প্রথম আলোকে সামনের দিনগুলোতে পাড়ি দিতে হবে।
প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। নগরের ডিআইটি এলাকায় অবস্থিত আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনে আয়োজিত এই সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। বিকেল চারটায় জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিক, শিল্প উদ্যোক্তা, শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাঁরা প্রথম আলো নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি নানা পরামর্শও দেন।
প্রথম আলোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ বলেন, প্রথম আলো বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে। মানুষের লড়াই সংগ্রাম, আনন্দ–বেদনার গল্প ধারণ করার মাধ্যমে প্রথম আলো বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় অনন্য হয়ে উঠেছে।
শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, প্রথম আলো জনগণের শক্তি জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ রুমন রেজা। তিনি বলেন, প্রথম আলো এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে। নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দীনা তাজরিন বলেন, ত্বকীসহ নারায়ণগঞ্জের সব হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম আলো নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছে। প্রথম আলো সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের প্রভাষক ফারজানা আফরোজ। তিনি বলেন, এই সাহসিকতা নিয়ে প্রথম আলো সত্য প্রকাশ করে যাবে।
প্রথম আলো জন্মলগ্ন থেকে দেশ ও সমাজের সঠিক চিত্র তুলে ধরছে বলে মন্তব্য করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ। তিনি বিগত সরকার ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থানের জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান। প্রথম আলো রাখার স্মৃতি স্মরণ করে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শিল্প উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘প্রথম আলো শুরু হওয়ার পর আমরা ভাই–বোনেরা বহু চেষ্টা করে বাবাকে বুঝিয়ে ঘরে প্রথম আলো নিয়ে আসি। তারপর থেকে গত ২৫ বছর ধরে আমি একটি পত্রিকাই পড়ি।’
নারায়ণগঞ্জ প্রশ্নে প্রথম আলোর শক্তিশালী ভূমিকার কারণে বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছিল বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া (দীপু ভুঁইয়া)। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বলেন, সব জুলুম–অত্যাচার সহ্য করে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে প্রথম আলো এগিয়ে যাবে।
জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের প্রশংসা করেন।
ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, দলনিরপেক্ষভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার কারণে দেশের মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় দৈনিক। প্রথম আলোতে নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বড় কিছু হলে কিছু সমালোচনা হবেই।’
বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে প্রথম আলো সাহসী ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন। তিনি বলেন, প্রথম আলো বাংলাদেশের মানুষের বিজয়ের সঙ্গী। জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা যখন নারায়ণগঞ্জে ত্বকীসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন করতাম, তখন সেই সংবাদ প্রকাশিত হলে শামীম ওসমান প্রথম আলো পত্রিকা জ্বালিয়ে দিত।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাসদ নেতা আবু নাঈম খান, এনসিপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আহমেদুর রহমান। গণসংহতি জেলা কমিটির নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার, জুলাই অভ্যুত্থান নারায়ণগঞ্জের সংগঠক ও ছাত্র ফেডারেশন নেতা ফারহানা মানিক প্রমুখ।
আমাদের একটাই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য—সত্য প্রকাশ করা। স্বাধীন সাংবাদিকতা করা। এবং আমরা সব অবস্থায় দেশের মঙ্গল চাই, মানুষের কল্যাণ চাই।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান অনুষ্ঠানে বলেন, ‘একটি বড় গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিগত সরকারের পতন হয়েছে। এখন দেশের রাজনীতিতে একটা নতুন ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ বছরেই আন্তর্জাতিকভাবে আমরা চারটা বড় স্বীকৃতি পেয়েছি। একটি হল গণ–অভ্যুত্থানের সময় আমরা কীভাবে তরুণ, কিশোর, ছাত্র পাঠকদেরকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছি, সে জন্য। আজকে যখন সারা বিশ্বের সংবাদপত্র পাঠ কমে যাচ্ছে, আয় কমে যাচ্ছে, নানা সমস্যার সংকট তৈরি হচ্ছে, তখন এ ধরনের পুরস্কার আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং এই স্বীকৃতির সম্মানটা আমরা আমাদের পাঠকদের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে চাই। কারণ এর পেছনে আপনাদের ভূমিকা আছে।’
পাঠক ও আয় কমে যাওয়ায় সংবাদপত্রশিল্প অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো এখনো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পত্রিকা, সবচেয়ে বেশি পাঠক আমাদের। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জরিপ করে পেয়েছে, ছাপা এবং অনলাইন পাঠক মিলিয়ে ৫৭ শতাংশ পাঠক প্রথম আলো পাঠ করেন। ৬৪ জেলার মধ্যে ৬১ জেলাতে কিন্তু আমরা এক নম্বর কাগজ। আগামীতেও আপনাদের কাছ থেকে এমনভাবে সমর্থন চাই।’
মতিউর রহমান বলেন, ‘যাঁরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না, যাঁরা সংবাদপত্রকে চাপে রাখতে চান, যাঁরা সংবাদপত্রকে বিপদে ফেলে চলতে চান, শেষ পর্যন্ত কিন্তু তাঁরাই ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। সে জন্য আমরা বর্তমানেও যাঁরা নির্বাচন করছেন, যাঁরা আগামীতে ক্ষমতায় আসছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের আবেদন, যেকোনোভাবেই হোক আপনারা দেখবেন যেন সংবাদপত্রে স্বাধীন ভূমিকা অব্যাহত থাকে।’
দেশের মানুষের সত্য তথ্য জানার অধিকার আছে উল্লেখ করে মতিউর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো পরিষ্কার করে বলেছে যে তারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার প্রতি তাদের আস্থা বিশ্বাস থাকবে। আমি আশা করব, আগামীতে নির্বাচনের পরেও এই অবস্থান তাদের থাকবে।’
মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা তো জানি যে দেশের একটা বড় পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং মানুষ এখন অনেক কিছু নতুন করে ভাবার চেষ্টা করছেন। আমাদের কাগজে আমরা নানা মত, নানা চিন্তাভাবনার খোরাক দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা আমরা জানি যে অতীতে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি হয়েছে, বলব যে অপতথ্য বা অপপ্রচার, অপব্যাখ্যাও হয়েছে সেসব কিছু বিষয়ে হয়তো আমাদের আবার নতুন করে ভাবার সুযোগ আছে। আমি বলতে পারব, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চিন্তাচেতনা, ভাবনাজগতের একটা প্রধান স্তম্ভ, একটা প্রধান বিষয় এবং এই আমাদের জন্ম ইতিহাস। এই বিষয়ে কিন্তু অতীতে অনেক বিভ্রান্তি, অসত্য, অপতথ্য দেওয়া হয়েছে। বাড়াবাড়ি হয়েছে। তার ফলে মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন জেগেছে। আমরা এ প্রশ্নগুলোর সমাধান চাই।’
প্রথম আলো সম্পাদক আরও বলেন, ‘আমাদের পত্রিকায় বিজয়ের মাসে দেখবেন যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাযুদ্ধে ব্যক্তির ভূমিকা, দলের ভূমিকা, নানান শ্রেণি–পেশার ভূমিকাকে জোর দেওয়ার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি যদি আমরা বলি যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সম্মানিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কেও অনেক বাড়তি এবং অপতথ্য, অপব্যাখ্যা, বাড়তি অপ্রয়োজনীয়ভাবে সবকিছুকে এককেন্দ্রিক করে তোলার চেষ্টা হয়েছিল। ফলে মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে অনেক। এখানে হয়তো আমাদের আলোচনা–সমালোচনা, মতবিনিময়ের অনেক সুযোগ আছে। আমাদের সংশোধনের সুযোগ আছে। জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, অসাম্প্রদায়িকতা এই বিষয়গুলো নিয়ে, আমাদের ভূমিকা, আমাদের অবস্থান, নানা আলোচনা, নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে একটা নতুন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমাদের মনে হয় যে সবগুলো বিষয়ে আমাদের নতুন করে ভাবার সুযোগ হয়েছে।’
প্রথম আলোর লক্ষ্য–উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের একটাই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য—সত্য প্রকাশ করা। স্বাধীন সাংবাদিকতা করা। এবং আমরা সব অবস্থায় দেশের মঙ্গল চাই, মানুষের কল্যাণ চাই। সে জন্য আমরা দেশের মানুষের জীবনের উন্নয়নের জন্য বড় বড় কতগুলো কর্মকাণ্ড করি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণিত অলিম্পিয়াড, জাতীয় বিতর্ক, জাতীয় ভাষা প্রতিযোগ আমরা করি। সেরা শিক্ষক সম্মাননা, সেরা কৃষক সম্মাননা, সেরা খেলোয়াড়, এখন চলছে ৪৬টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতা। আর সেরা শিল্পী, গায়ক, অভিনেতা—তাঁদের পুরস্কৃত করা তো আছেই। লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশের কল্যাণ।’
প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মজিবুল হক। সুধী সমাবেশ আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল নারায়ণগঞ্জ গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন(এনজিএ)।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর আঞ্চলিক সংবাদবিষয়ক সম্পাদক তুহিন সাইফুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, আরপি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মিজানুর রহমান ও নীলাদ্রি পাইক, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি মোরশেদ সারোয়ার, মোহাম্মদ আবু জাফর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর–পরিকল্পনাবিদ মইনুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি আওলাদ হোসেন, খেলাঘর আসর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক তালুকদার, বিকেএসপির সাবেক খেলোয়াড় মাহমুদুল হক তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী নুসরাত জাহান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটির সভাপতি ধীমান সাহা, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি জাহিদুল হক, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি জিয়াউল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর হোসেন প্রমুখ।