বিএনপির অবরোধ ঠেকাতে সিলেটে রামদা, হকিস্টিক, লাঠি হাতে ছাত্রলীগের মহড়া

বিএনপির ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের মহড়া। আজ তেলিবাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির ডাকা অবরোধ ঠেকাতে সিলেটে ছাত্রলীগ রামদা, রড, হকিস্টিক ও লাঠি হাতে মহড়া দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় এবং গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট নগরের বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মহড়া দিতে দেখা গেছে। তবে অস্ত্র নিয়ে মহড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি তাঁদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ।

আরও পড়ুন

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোকে অস্থিতিশীল করতে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এটা অনাকাঙ্ক্ষিতও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানাব, তারা যেন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়।’

আরও পড়ুন
সিলেটে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রামদা হাতে মহড়া দেন। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরের মীরবক্সটুলা এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার হ‌ুমায়ুন রশীদ চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল দুপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ মোটরসাইকেল বহর নিয়ে হ‌ুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে মহড়া দিয়ে বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা হয়ে আম্বরখানা এলাকায় আসে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে রামদা, হকিস্টিক, রড, লাঠিসহ দেশীয় নানা অস্ত্র ছিল। একইভাবে আজ সকালে দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুল এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের নেতৃত্বে একটি দল যোগ দেয়। এ সময় বহরের নেতা-কর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

গত দুই দিন ধরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়ার বিষয়টি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম অস্বীকার করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তথ্যটি সঠিক নয়। তবে কিছু নেতা-কর্মীর হাতে লাঠি ছিল। বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে প্রাণরক্ষার স্বার্থেই কিছু নেতা-কর্মীর হাতে লাঠি ছিল। কারণ, বিএনপি-জামায়াত তো অবরোধের নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’