৫৫ মণের ‘কালো মানিককে’ হাটে তুলবেন না মালিক
৭ বছর আগে ৭৫ হাজার টাকায় কিনেছিলেন বাছুরটিকে। এর পর থেকে বাছুরটিকে অনেক যত্ন করে লালনপালন করেছেন জাকির হোসেন। কালো কুচকুচে এ ষাঁড়ের নাম দিয়েছেন ‘কালো মানিক’। এ ষাঁড়ের ওজন বর্তমানে ৫৫ মণ বলে দাবি করেছেন তিনি।
গত দুবার হাটে তোলার পরও মনমতো দাম পাননি জাকির। তাই এবার বাড়িতে রেখেই কালো মানিককে বিক্রি করতে চান তিনি। জাকির হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা মধ্য ভাটিপাড়া গ্রামে। নিজের বাড়িতেই তিনি খামার গড়ে তুলেছেন।
গত শুক্রবার ধানীখোলা মধ্য ভাটিপাড়া গ্রামে গিয়ে কথা হলে জাকির বলেন, কালো মানিক বিদেশি জাতের ষাঁড়। এর দৈর্ঘ্য ১১ ফুটের বেশি। চওড়া প্রায় সোয়া সাত ফুট। এর ওজন ২ হাজার ২০০ কেজি বা ৫৫ মণ। ২০২১ ও ২০২২ সালে ঢাকার গাবতলীর গরুর হাটে নিয়ে গিয়েছিলেন। আশানুরূপ দাম না হওয়ায় তিনি ষাঁড়টি বিক্রি করেননি। এবার ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে চান তিনি। তবে এবার তিনি ষাঁড়টিকে কোনো হাটে নিতে ইচ্ছুক নন, বাড়ি থেকেই বিক্রি করবেন।
জাকির বলেন, মূলত তিনি ব্যবসায়ী। শখ থেকেই ১৫ বছর ধরে তিনি গরু পালন করেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় ঈদের আগে বড় বড় ষাঁড় বিক্রি করেছেন তিনি। তবে কালো মানিকের মতো এত বড় কোনো ষাঁড় হয়নি। কালো মানিক বিদেশি জাতের হলেও ঘাস, ভুট্টা, ভুসি, খড় আর কুড়ার মতো দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করেছেন। এটি পালন করতে ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর কোরবানির ঈদের পর থেকে কালো মানিকের ভরণপোষণে তাঁর খরচ হয়েছে ছয় লাখ টাকা।
কথা বলে আরও জানা যায়, কালো মানিককে রাখা হয় বসতবাড়ির পাশেই একটি গোয়ালঘরে। প্রতিদিন নিয়ম করে তিনবার খাওয়ানো হয়। খুব গরম পড়লে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শ মেনে দৈনিক পাঁচ থেকে ছয়বার গোসল করানো হয়। কালো মানিকের মাথার ওপর সারাক্ষণ দুটি বৈদ্যুতিক পাখা চলে। প্রচণ্ড গরম পড়লে যোগ হয় বাড়তি একটি স্ট্যান্ড ফ্যান।
জাকির হোসেন জানান, গত বছর কোরবানির পশুর হাটে কালো মানিকের দাম হাঁকা হয়েছিল ৪০ লাখ। এবার সন্তোষজনক দাম পেলে কালো মানিককে বিক্রি করে দেবেন।
গত শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে ত্রিশাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তানজিলা ফেরদৌসী বলেন, তাঁরা পরিমাপ করে দেখেছেন, কালো মানিকের ওজন ২ হাজার ২০০ কেজি।