আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় আগাম জামিন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম

সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতনসহ ছয়জন আজ বুধবার ছয় সপ্তাহের জন্য উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে ৬ জানুয়ারি ধর্মপাশা থানায় মামলাটি করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক।

ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসন। নির্বাচন কমিশন থেকে গত ৫ জানুয়ারি কমিশনের উপসচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এই মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

দলীয় কর্মীরা বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের (কেটলি প্রতীক) নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরদিন সুনামগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ প্রবাল চক্রবর্তীর কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ। অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানো নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ ডিসেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেন কমিটির কাছে জবাব দেন। একই দিন অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে অনুসন্ধান কমিটি। পরে নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন

নির্বাচন কমিশন থেকে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া নির্দেশনাপত্রে বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনসহ নূরে আলম, আবুল কাশেম, আবুল হাসেম, মোজাহিদ ও তোফায়েল জয়শ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকা কর্মীদের ওপর হামলা চালান। তাঁদের স্মার্টফোন ভেঙে ফেলেন। নৌকার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। তাঁদের মারধর করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। যা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার (২০০৮) লঙ্ঘন। এ অবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসুর রহমান ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধর্মপাশা থানার এসআই আবদুস সবুর বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলার ছয়জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পেয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ–সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র এখনো পাননি।