ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ফাইল ছবি

পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) স্ত্রীকে সময়মতো না দেখায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ এক নারী চিকিৎসকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরে হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত বুধবার রাতের এ ঘটনার পর হাসপাতালে কর্মবিরতিতে রয়েছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা।

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের অভিযোগ, হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা সমাধান করতে কয়েকজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। তবে পুলিশের দাবি, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ, ওই সময় ফাঁড়িতে মাত্র ছয়জন পুলিশ সদস্য ছিলেন, বিপরীতে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ছিলেন অন্তত ১৫০ জন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ আজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে অনেক কিছু ভাঙচুর অবস্থায় পাওয়া গেছে। তারপরও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের দাবির মুখে ঘটনার কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ দুজনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাতের ঘটনায় ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

গত বুধবার রাতের ঘটনায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ডাকা কর্মবিরতি আজ শুক্রবারও পালন করা হয়েছে। তবে এতে চিকিৎসাসেবায় কোনো প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেন হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষানবিশদের কর্মবিরতির কারণে নিয়মিত চিকিৎসকেরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মাহিদুল হক বলেন, ‘ওয়ার্ডে ঘটে যাওয়ার ঘটনার সমাধানের উদ্দেশ্যে আমরা কয়েকজন পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে পুলিশ সদস্যরা আমাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত আরও অনেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে যান। তবে তাঁরা কেউ উগ্র আচরণ করেননি। আমরা বুধবার রাতের ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিচার চাই। আগামীকাল শনিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে আমাদের সভা আছে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’