ফাহমী গোলন্দাজের নগদ টাকা শূন্য থেকে কোটিতে, ব্যাংকে জমা বেড়েছে ২৪৫ গুণ
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজের (বাবেল) গত ১০ বছরে আয়, নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা, গাড়ি, সোনা ও জমি—সবই বেড়েছে অনেক গুণ।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন তিনি। সেই নির্বাচনের হলফনামা এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেওয়া তাঁর হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
একাধিকবারের সংসদ সদস্য আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের ছেলে ফাহমী গোলন্দাজের পেশা ব্যবসা। দশম নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে তাঁর আয় এখন ৩ কোটি ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪৯ টাকা। এই হিসাবে তাঁর আয় বেড়েছে ১২৭ গুণের বেশি। আগের হলফনামায় তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের কোনো আয়ের উল্লেখ নেই। এবারের হলফনামায় নির্ভরশীলদের আয় সাড়ে ১৯ লাখের বেশি।
দশম নির্বাচনের সময় ফাহমী গোলন্দাজের কোনো নগদ টাকা ছিল না। ১০ বছরের ব্যবধানে এবার তাঁর নগদ টাকা প্রায় দেড় কোটি। তাঁর স্ত্রীর নগদ অর্থ আছে ১০ লাখের বেশি। এ সময় ফাহমীর ব্যাংকে জমা ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১১ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৯ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ তাঁর ব্যাংকে জমার পরিমাণ ২৪৫ গুণ বেড়েছে। ব্যাংকে তাঁর স্ত্রীর জমা আছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকার বেশি।
আগে কোনো গাড়ি না থাকলেও এখন ফাহমী গোলন্দাজের কোটি টাকার বেশি মূল্যের দুটি এসইউভি গাড়ি আছে। তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর মোট ৭২০ ভরি সোনা আছে। নিজের থাকা ২২০ ভরি তিনি বিবাহ সূত্রে পেয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। এই দম্পতির মালিকানায় চারটি নিবন্ধিত অস্ত্র আছে। এর মধ্যে ফাহমীর নামে একটি পিস্তল ও একটি শটগান এবং তাঁর স্ত্রীর নামে একটি পিস্তল ও একটি রাইফেল আছে।
১০ বছর আগে যৌথ মালিকানায় ১৫ একর অকৃষিজমি ছাড়া আর কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না ফাহমী গোলন্দাজের। এবারের হলফনামায় উল্লেখ আছে, তাঁর নিজের নামে প্রায় ১৬ একর কৃষিজমি আছে। অকৃষিজমির মধ্যে তাঁর পৈতৃক সূত্রে ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার নিকুঞ্জে এবং নিজের নামে গফরগাঁওয়ে বাড়ি ও দোকান আছে। এ ছাড়া পৈতৃক সূত্রে ময়মনসিংহ শহরে তিন শতাংশ জমি, রাজউকে চার কাঠার একটি প্লট ও গুলশানে আড়াই কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট আছে তাঁর। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৩০ একরের একটি মৎস্যখামার থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী পৈতৃক সূত্রে একটি দোতলা বাড়ি এবং আটটি ফ্ল্যাটের মালিক।