আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩, অভিযান চলছে

নদীতে ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। আজ রোববার দুপুরে মেঘনা নদীর ভৈরব মোহনা এলাকায়ছবি: সুমন মোল্লা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে মেঘনা নদীর ভৈরব মোহনা থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে ডুবুরি দল। নৌকাডুবির ঘটনায় এ নিয়ে তিন দিনে মোট ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। তবে এখনো নিখোঁজ আছেন তিনজন।

উদ্ধার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে নৌ পুলিশ। তাঁরা হলেন রুপা দে ও কলেজপড়ুয়া আনিকা বেগম। রুপা দে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী নিখোঁজ বেলন চন্দ্র দে-র শ্যালকের স্ত্রী। আনিকার বাড়ি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িগাও গ্রামে।

স্থানীয় নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু করে ডুবুরি দল। দুপুর ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করা হয়। তবে নৌকার ভেতরে কারও লাশ পাওয়া যায়নি। পরে বেলা তিনটার দিকে মেঘনা নদীর ভৈরব মোহনা থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নৌ পুলিশ সিলেট জোনের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, এখনো তিনজন নিখোঁজ আছেন। নিখোঁজ তিনজনের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় বাল্কহেডের সুকানি ও ইঞ্জিনচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নৌকাটি দ্রুত ও বেপোরোয়া গতিতে চালানোর অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানার বাবা মো. আলীম।

আরও পড়ুন

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেঘনা নদীর ভৈরব এলাকায় পাশাপাশি দুটি রেল ও একটি সড়কসেতু আছে। তিনটি সেতু ঘিরে ভৈরব প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে ঘুরে বেড়ান। গত শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে একটি নৌকায় ১৫ থেকে ১৮ জন ঘুরতে যান। পরে সন্ধ্যায় মাঝনদীতে বালুবাহী বাল্কহেড নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন