ফরিদপুরে বিদেশে থাকা বিএনপির ২ নেতাকে আসামি করার যে ব্যাখ্যা দিল পুলিশ

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার ঘটনায় উল্টো বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এতে বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির দুই নেতাকে আসামি করার খবর প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আজ শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন।

বিদেশে অবস্থান করা ওই দুজন হলেন ২১ নম্বর আসামি গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া ওরফে রতন (৪৮) ও ১৮ নম্বর আসামি মো. সেলিম হোসেন ওরফে ভিপি সেলিম (৪৫)। এর মধ্যে গোলাম রব্বানী শহরের টেপাখোলা মহল্লার বাসিন্দা ও ফরিদপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। আর সেলিম ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ও জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন বলেন, মামলায় ভুলবশত মো. সেলিম হোসেনকে (ভিপি সেলিম) আসামি করা হয়েছে। মূলত ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সেলিম মিয়া। ভিডিও এবং ছবি পর্যালোচনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এজাহারে উল্লিখিত বাবার নাম ও ঠিকানা সেলিম মিয়ার নয়। ওই সব তথ্য সেলিম হোসেনের।

সেলিম মিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্য যে আসামি বিদেশে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য নয় দাবি করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিন অ্যাডভোকেট রতনের (গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া) বিদেশে অবস্থানসংক্রান্ত যে সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ৩০ নভেম্বর ফরিদপুরে তাঁর অবস্থানের সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। ঘটনার পরের দিন (১ ডিসেম্বর) তিনি দুবাই যান।

আরও পড়ুন

ঘটনা দুটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে দাবি করে মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় সেলিম মিয়া ছাড়াও আরও তিনজনকে আজ (শনিবার) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এর আগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া ওরফে স্বপন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী একটি সেমিনারে যোগ দিতে ২৮ নভেম্বর ফরিদপুর ত্যাগ করেন। ৩০ নভেম্বরের কর্মসূচিতে তাঁর থাকার প্রশ্নই ওঠে না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, সিসিটিভি ফুটেজ ও সরকারি গোয়েন্দাদের ভিডিও ফুটেজে তাঁর উপস্থিতির প্রমাণ থাকার সুযোগ নেই। আমরা এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’