বৈরী আবহাওয়ায় ভোলা থেকে ৫ নৌপথে লঞ্চ চলাচল আজও বন্ধ

সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলা থেকে পাঁচটি নৌপথে গতকাল সোমবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএছবি: প্রথম আলো

ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথসহ ভোলার পাঁচটি নৌপথে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ মঙ্গলবার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নৌপথগুলোতে গতকাল সোমবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বন্ধ থাকা নৌপথগুলো হলো ভোলার ইলিশা-মজুচৌধুরীর হাট (লক্ষ্মীপুর), বরিশাল-ভোলা-মজুচৌধুরীর হাট, হাকিমউদ্দিন-আলেকজান্ডার (লক্ষ্মীপুর), বেতুয়া (চরফ্যাশন, ভোলা)-ঢাকা ও হাতিয়া (নোয়াখালী)-মনপুরা (ভোলা)-ঢাকা। তবে ভোলা-ঢাকা, ইলিশা-ঢাকা ও ভোলা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চ চলাচল করবে।

আরও পড়ুন

ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি ছিল না। মেঘনা নদীও তেমন উত্তাল নয়। তারপরও সাগর ও সাগর মোহনায় ৩ নম্বর ও মেঘনা নদীতে ২ নম্বর সতর্কসংকেত চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে তাই লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান নির্দেশ দিলে আবার লঞ্চ চালু হবে।

ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ভোলায় সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ সকালে ভোলার ইলিশা লঞ্চ ও ফেরিঘাটে সরেজমিন দেখা যায়, ঘাট থেকে সকালে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ও ফেরি ছেড়ে যায়নি। তবে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাট থেকে ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে আসা কদম নামের একটি ফেরি সকাল নয়টার দিকে ইলিশা ফেরিঘাটে নোঙর করেছে। কিন্তু জোয়ারে ফেরিঘাট ডুবে থাকায় ফেরি থেকে গাড়ি ওঠানামা করতে পারছিল না।

ভোলা-চট্টগ্রাম সড়কপথে চলাচলকারী বাসের টিকিট বিক্রেতাদের ফেরির যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করতে দেখা যায়। টিকিট বিক্রেতা মো. হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলা-চট্টগ্রাম নৌপথে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ আছে। অনেক যাত্রী ঘাটে এসে ফেরিতে মজুচৌধুরীর হাটে গিয়ে চট্টগ্রামের বাসে উঠবেন। তাই এপার থেকে সামনে সিট পাওয়ার জন্য অনেকে টিকিট কিনছেন।

ইলিশা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক পারভেজ খান বলেন, ভোলার ইলিশায় দুটি ফেরিঘাট। একটি জোয়ারের সময় (হাইওয়াটার ঘাট) চালু থাকে। আরেকটি ভাটার সময় (লোওয়াটার ঘাট) চালু থাকে। গত মঙ্গলবার বৈরী আবহাওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ঘাট দুটি বিকল হয়ে যায়। তিন দিন পর লোওয়াটার ঘাটটি চালু হলেও হাইওয়াটার ঘাট এখনো চালু হয়নি। তবে ঘাটে কোনো গাড়ি জমা নেই। ঘাটে এলেই গাড়ি ফেরিতে উঠে গন্তব্যে যেতে পারবে।