আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা চাইলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ ৩ জন

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে শোকজের জবাব দিতে মু্ন্সিগঞ্জ আদালতে হাজির হন মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে।
ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ তিনজন। এরপর থেকে আচরণবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।

বাকি দুজন হলেন শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়, মুন্সিগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এ উপস্থিত হন তাঁরা। পরে আসনটির অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. আল-ইমরানের সামনে কারণ দর্শানো নোটিশের ব্যাখ্যা দেন।

আরও পড়ুন

গত শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় আচরণবিধি ভঙ্গ করে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। ওই সভার ব্যানারে বড় অক্ষরে লেখা ছিল, ‘২০২৪ জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ নির্বাচনী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষে৵ মতবিনিময় সভা’। সভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ওই সভায় নেতা–কর্মীদের প্রতি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিনের পক্ষে কাজ করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে ‘৭ তারিখে সারা দিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন’, ‘মহিউদ্দিন ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘নৌকা, নৌকা’ বলে স্লোগান দেন সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা।

বিষয়টি নজরে এলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মহিউদ্দিন, তোফাজ্জল ও মশিউর রহমানকে গত রোববার আলাদাভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের ব্যাখ্যা দিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি। সামনের দিনগুলোতে আচরণবিধি মেনে চলব বলে ক্ষমা চেয়ছি। সেদিন সভায় উপস্থিত হয়ে নৌকার ভোট চাইনি; বরং সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য বলেছি।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নেতারা দাবি করেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মহিউদ্দিন গত শনিবার শ্রীনগরের একটি এলাকায় যাচ্ছিলেন। তিনি ডাকবাংলো এলাকায় পৌঁছালে তাঁকে থামান দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা। সেখানে মহিউদ্দিন নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় আরও নেতা–কর্মী জড়ো হন। পরে কে বা কারা ব্যানার লাগায় সে বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তবে সামনের দিনগুলোতে এমনটা হবে না কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে বলে এসেছেন।