নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সাবেক গৃহশিক্ষক রিমান্ডে

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আবদুর রহিম। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালী শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুরে স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম ওরফে রনির (২৮) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. এমদাদ এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন

রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আবদুর রহিম ওরফে রনিকে আজ বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে রহিমের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এর আগে আজ দুপুরে নিহত স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে তিনি তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ করেন। এজাহারটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিমের গলায় ও ঘাড়ে নখের আঁচড়ের দাগ আছে। যার ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহিম শরীরে থাকা নখের আঁচড়ের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তাই ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় হত্যাকাণ্ডে তিনিই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন।

ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজন আসামি আবদুর রহিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেননি।। তাই তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আশা করা হচ্ছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া আটক মো. সাঈদসহ (২০) দুই আসামিকে একই ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার একটি বাসা থেকে স্কুলছাত্রীর (১৪) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে সুধারাম থানার পুলিশ। ওই ছাত্রী নোয়াখালীর একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।