নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না

ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। সোমবার বেলা ১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের সামনেছবি: প্রথম আলো

মিয়ানমারের রাখাইনে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনার জেরে বাংলাদেশের ভেতরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। কেন্দ্রটি সরিয়ে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিদ্যালয় দুটি হলো ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আজ সোমবার বেলা একটায় ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রটি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মিয়ানমার সীমান্ত। এ কারণে এই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। গত শুক্রবার প্রথম আলোয় ‘সীমান্ত এলাকার ৪৬৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী দুশ্চিন্তায়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়, কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৬৩ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের ১৫৯ জন, উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয়ের ২৩৩ ও বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৭১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

আরও পড়ুন

কেন্দ্রটি সরিয়ে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ায় এখন চিন্তামুক্ত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লক্ষ্মী চক্রবর্তীর বাবা মানিক চক্রবর্তী বলেন, ‘মেয়ের পরীক্ষার বাকি আর মাত্র দুই দিন। আজ সোমবার দুপুরের আগেও জানতাম না পরীক্ষা কোথায় হবে? ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রটি বাতিল করায় এখন একটু স্বস্তি পাচ্ছি।’

আরও পড়ুন

এর আগে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া এলাকার সীমান্ত পরিদর্শন করেন। পরে নতুন পরীক্ষাকেন্দ্র ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।