সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ও কনকনে হাওয়া, দুপুরে রোদ

কুয়াশায় ঢেকে আছে মনু সেতু। শনিবার সকাল ৮টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের কাছে
ছবি: প্রথম আলো

সকাল আটটা। মৌলভীবাজার শহরের কাছে মনু নদের পাড়ে শান্তিবাগ ওয়াকওয়েসহ আশপাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা। পাড় থেকেও মনু নদের ভেতরের অংশ, অপর পার দেখা যাচ্ছিল না। এর মধ্যে ওয়াকওয়েতে কিছু নারী-পুরুষ প্রাতর্ভ্রমণ করছিলেন কান-মাথা ঢেকে। তাঁরা বলেন, শীতের কারণে অন্য দিনের তুলনায় প্রাতর্ভ্রমণকারীদের সংখ্যা কম।

শনিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল নয়টায় তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময় ঘন কুয়াশা ও কনকনে হিমবাতাসে স্থবির হয়ে ছিল জনপদ। তবে দুপুরের দিকে কুয়াশা কেটে গেলে রোদের দেখা মিলেছে। সঙ্গে তাপমাত্রাও বেড়েছে।

শ্রীমঙ্গলের প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ছয়টায় রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কুয়াশা নামতে শুরু করে। ফলে সকাল নয়টায় তাপমাত্রা কমে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। বেলা ১১টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা ছিল সারা জনপদ। রোদ আসার পর তাপমাত্রা বেড়ে যায়। দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে কুয়াশার মধ্যেই শ্রমজীবী মানুষদের পথে নামতে দেখা গেছে। মনু নদের সেতু পার হয়ে টুকরি-কোদাল কাঁধে নিয়ে শহরের দিকে এই শ্রমজীবীদের অনেকে আসছিলেন। রিকশা ও ভ্যান নিয়েও অনেকে পথে বের হন। প্রায় সবারই কান-মাথা চাদর, মাফলার দিয়ে মোড়ানো ছিল। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ভোগান্তি আরও বাড়ে।

আরও পড়ুন

জেলা শহরের কোর্ট রোড, শমসেরনগর সড়ক, সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক, এম সাইফুর রহমান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল সাড়ে আটটার দিকেও হেডলাইড জ্বালিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ভুজবলের জুনেদ আবেদীন বলেন, ‘অনেক ঠান্ডা পড়ছে। হাওর এলাকাতে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা লাগে। এখনই (শনিবার বিকেলে) অনুভব করা যার (যাচ্ছে) কী রকম ঠান্ডা লাগছে। যখন সূর্য ডুবে যায়, তখন মুমূর্ষু (জবুথবু) অবস্থা শুরু হয়। প্রচুর ঠান্ডা পড়ে। প্রচুর কুয়াশা শুরু হয়। তিন থেকে চার হাত দূরের কিচ্ছু দেখা যায় না।’

হাইল হাওরের বাইক্কা বিল এলাকার হাসান আহমদ বলেন, দু-চার দিন ধরে অনেক ঠান্ডা লাগছে। এর আগে এত ঠান্ডা ছিল না। রাতের বেলাতেই বেশি ঠান্ডা লাগে। গাঢ় কাপড় ছাড়া চলা যায় না।

আরও পড়ুন

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক বিপ্লব দাস শনিবার বলেন, আজ শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা সকাল নয়টার রেকর্ড। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। প্রায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। আরও দু-এক দিন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলবে।