রাজশাহীতে সাংবাদিক মারধরের মামলায় ১৪ দিন পর দুজনকে গ্রেপ্তার

হামলার প্রতিবাদে বিএমডিএ কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করেন রাজশাহীর সাংবাদিকেরা
ফাইল ছবি

রাজশাহীতে লাইভ চলাকালে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় করা মামলার ১৪ দিন পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এই দুজন হলেন রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ভান্ডাররক্ষক মো. জীবন (৪২) ও গাড়িচালক আবদুস সবুর (৪২)। তাঁরা মামলার ২ ও ৭ নম্বর আসামি। ৫ সেপ্টেম্বর ঘটনার দিন সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে এই দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুন

মামলার বাদী ও সাংবাদিক বুলবুল হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ১৪ দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মাত্র দুজনকে। মামলার এক নম্বর আসামি বিএমডিএর প্রধান নির্বাহীসহ সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে হামলায় অংশ নেওয়া সবার নাম তিনি এজাহারে উল্লেখ করতে পারেননি; তবে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। তাঁদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর থেকেই তাঁরা রাজশাহীতে আন্দোলন করছিলেন। তাঁদের একটাই দাবি, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁদের মীমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা চেয়েছিলেন মীমাংসা নয়, আইনের মাধ্যমেই এর সমাধান হোক।

আরও পড়ুন

৫ সেপ্টেম্বর সকালে রাজশাহীর বিএমডিএ কার্যালয় থেকে টেলিভিশন লাইভ চলাকালে এটিএন নিউজের রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপারসন রুবেল ইসলামের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুর রশীদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করেন বুলবুল হাবিব। এ ছাড়া মামলায় ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।