পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে ভালুকা-পারুলদিয়া সড়কের পনাশাইল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরা পুলিশকে বাধা দেন। তখন ঘটনাস্থল থেকে যুবদলের নেতা রকিবুল হাসান খান ও আতাহার আলীকে আটক করে পুলিশ। পরে আটক দুজনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৭৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বাদী হয়ে যানবাহন ভাঙচুর মামলা করেন। সেই মামলায় রকিবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়ে। গ্রেপ্তারের খবর শুনে রকিবুলের বাবা আবদুল আউয়াল খান অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো অনলাইনে ‘যুবদল নেতার গ্রেপ্তারের খবরে শুনে বাবার মৃত্যু, দাবি পরিবারের’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।

রকিবুল হাসানের ছোট ভাই আরিফ হাসান খান বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভালুকা সরকারি কলেজের সামনে থেকে তাঁর বড় ভাই রকিবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রকিবুল ভালুকা উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের একাধিক নেতার সঙ্গে আরকে মামলায় রকিবুল হাসান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে রকিবুল ৫১ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।