ছাত্রলীগের এক নেতা হল থেকে বের করে দিলেন, আরেক নেতা করলেন মীমাংসা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক শিক্ষার্থীকে কক্ষ থেকে বের করে দেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ওই শিক্ষার্থীকে আবার তাঁর কক্ষে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের একটি গ্রুপে এসব অভিযোগ করেন। রাকিবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সোহান হাসান। তিনি শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি ১০ জানুয়ারি শহীদ হবিবুর রহমান হলের ১৩০ নম্বর রুমে বরাদ্দ পাই। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় আমি খাবার খাওয়ার জন্য বাইরে যাই। রুমে ফেরার পর আমি দেখি ছাত্রলীগ নেতা সোহান আমার প্রয়োজনীয় সব জিনিস বেড থেকে ফেলে দেয় এবং তাদের পছন্দমতো একজন শিক্ষার্থীকে ১৩০ নম্বর রুমের আমার বেডে তুলে দেয়। আমি যখন রুমে ফিরি, তখন রাত ১১টা ৪০ মিনিট। তখন নিরুপায় হয়ে প্রাধ্যক্ষকে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।’

রাকিবুল আরও লিখেছেন, বিষয়টি আজ সকালে প্রাধ্যক্ষকে জানালে তিনি বলেন, তাঁর (প্রাধ্যক্ষ) দায়িত্ব সিটে তুলে দেওয়া, সিটে থাকতে পারবে কি না, সেই দায়ভার তার না। সিট দেওয়ার দায়িত্ব তার, সিট রক্ষার দায়িত্ব শিক্ষার্থীর।

আরও পড়ুন

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহান হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, হল থেকে কোনো আবাসিক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার এখতিয়ার ছাত্রলীগের নেই। তা এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সোহানকে ডেকেছেন এবং জানতে চেয়েছেন, সে এটা কেন করেছে? এরপর তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তাঁর সিটেই তুলে দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

হল প্রাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাঁর বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযোগ করেছেন, আসলে তিনি সেভাবে বলেননি। বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। আর সমস্যা হবে না।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক গ্রুপে অভিযোগটি জানানোর ঘণ্টাখানেক পর বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে। ছাত্রলীগ নেতা আসাদুল্লা-হিল-গালিব বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। তিনি আবার তাঁর কক্ষে উঠেছেন।