মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলেন হিরো আলম

হিরো আলম
সংগৃহীত

ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করেছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নির্বাচন কমিশনে সশরীর হাজির হয়ে আপিল করেন তিনি।
আপিলের আবেদন দাখিলের পর হিরো আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে হিরো আলমকে নির্বাচনী মাঠছাড়া করা যাবে না।

গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন প্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকা দাখিল করার বিধান আছে। হিরো আলম যে তালিকা দাখিল করেছিলেন, সেখানে বেশ কিছু গরমিল আছে।

আরও পড়ুন

তবে হিরো আলম দাবি করেন, এই তালিকায় কোনো গরমিল নেই। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ করায় কেউ কেউ ভয়ে তথ্য যাচাইকারীদের কাছে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। কেউ পুলিশের ভয়ে সটকে পড়েছিলেন। ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে ‘ভীতিকর অবস্থা’ তৈরি করেছে বলে অভিযোগ তাঁর। এ কারণে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থন সঠিকভাবে যাচাই হয়নি।

নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ‘ন্যায়বিচার’ পাবেন বলে আশা করেন না স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ন্যায়বিচার না পেলে হাইকোর্টে যাব। অন্যবার হাইকোর্টে ন্যায়বিচার পেয়েছি, এ কারণে এবারও হাইকোর্টের প্রতি আস্থা আছে। হাইকোর্টেও ন্যায়বিচার না পেলে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল করব। শেষ পর্যন্ত চক্রান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’

আরও পড়ুন

এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশে তিনি নির্বাচনে ফিরে আসেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে পরাজিত হন তিনি।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। সবশেষে আগামী ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে।

গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। এই হিসাবে আসনটিতে আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।