নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার: আইজিপি

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সংবাদ ব্রিফিং করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়েছবি: প্রথম আলো

নির্বাচন নিয়ে নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো নাশকতার শঙ্কা নেই। এরপরও নাশকতা ঠেকাতে বাংলাদেশ পুলিশ নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কারও কাছে কোনো নাশকতার তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাতে পারেন। নির্বাচন বানচাল ও এ ধরনের অপপ্রয়াস যারা চালায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেউ নাশকতাকারীদের তথ্য দেন, তাঁদের পরিচয় গোপন করে ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

দেশবাসীকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ও পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় পুলিশ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। পুলিশ আপনাদের পাশে রয়েছে। প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ী ও আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেসব কেন্দ্রে অধিক সতর্কতার সঙ্গে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।’

আরও পড়ুন

সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনে ধর্মীয় সংখ্যালঘু রয়েছে, তাদের উৎকণ্ঠার কথা মাথায় রেখে নির্বাচনী নিরাপত্তা গ্রহণ করেছি। তাঁরা যেন নিরাপদে ভোট দিতে পারেন, সে লক্ষ্যে পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নারী ও বয়স্করা যাতে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়ে পুলিশ তাঁদের সহযোগিতা করবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহল জোরদার করা হবে। আগামী নির্বাচন যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের সব সদস্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মঈনুল হক, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদ্দারসহ খুলনা বিভাগে কর্মরত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন