বড় ফেনী নদীতে আবার ধরা পড়ল ৩ কেজি ওজনের ইলিশ

জেলেদের জালে ধরা পড়া ৩৫টি ইলিশের মধ্যে ৫টির ওজন প্রায় ৩ কেজি করে
ছবি: প্রথম আলো

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীতে জেলেদের জালে আবারও ধরা পড়ল ৩ কেজি ও ২ কেজির ওজনের ৩৫টি ইলিশ। ওজন করে দেখা গেছে, ৩৫টি ইলিশের মধ্যে ৫টির ওজন প্রায় ৩ কেজি করে। অপর ৩০টি মাছের প্রতিটির ওজন ২ কেজির ওপরে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে উপজেলার আদর্শগ্রাম এলাকার জেলেদের জালে মাছগুলো ধরা পড়ে।

সব মিলিয়ে গতকাল বিকেলে ওই জেলেরা ৩ মণ ১২ কেজি ইলিশ শিকার করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার একই জেলেদের জালে তিন কেজি ও আড়াই কেজি ওজনের ২১টি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। গতকাল বিকেলে ধরা মাছগুলো নদীর তীরে আড়তে নিয়ে নিলামে তোলা হলে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নেয়ামত উল্যাহ ও আবদুল মান্নান যৌথভাবে ৩ মণ ১২ কেজি ইলিশ নিলাম করে ২ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। পরে তাঁরা পৌর শহরের মাছ বাজারে এনে সব মাছ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, উপজেলার আদর্শগ্রাম এলাকার খালেক মিয়া ও মানিক মিয়াসহ আট-দশজন জেলে গত মঙ্গলবার ইলিশ ধরতে দুটি ট্রলার নিয়ে বড় ফেনী নদীর শেষ প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জাল ফেলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জোয়ার কমতে থাকায় জেলেরা জাল টেনে ট্রলারে তুলছিলেন। এ সময় জালে আচমকা টান মারলে তাঁরা বুঝতে পারেন, বড় কিছু আটকা পড়েছে। পরে জাল টেনে নৌকায় তুলতেই সবাই দেখতে পান, বড় বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। একই সঙ্গে ছোট ইলিশও ধরা পড়েছে।

জেলে খালেক মিয়া বলেন, বিকেলের দিকে মাছগুলো বিক্রি করতে তিনি স্থানীয় আড়তে যান। সেখানে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পাইকারি মাছবিক্রেতা নেয়ামত উল্যাহ ও আবদুল মান্নান যৌথভাবে ২ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকায় মাছগুলো কিনে নেন।

বাজারে বড় ইলিশ ওঠার খবরে অনেকেই সেখানে ভিড় জমান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মাছ বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

নেয়ামত উল্যাহ বলেন, তিনি প্রথমে তিন কেজির ইলিশগুলো ১ হাজার ৮৫০ টাকা দরে এবং ২ কেজির বেশি ওজনের ইলিশগুলো ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে হাঁকান। তবে পরে রাত ১১টা পর্যন্ত বড় মাছগুলো ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করেন। এ ছাড়া অন্য ইলিশগুলো ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।

মনির হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ইলিশ তাঁর প্রিয় মাছ। তাই বাজারে বড় ইলিশ মাছ দেখে তিনি শখ করে পাঁচটি মাছ কিনেছেন। দাম পড়েছে ২০ হাজার ৪০০ টাকা। বড় মাছ দেখে বাড়ির সবাই খুব খুশি হবে।

আরও পড়ুন

উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় স্থানীয় জেলেরা এখন উপকৃত হচ্ছেন। এ কারণে নদী ও সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে এবং টানা ও বসানো জালে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে। সামনের পূর্ণিমাতে আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে বলে তিনি আশা করছেন।

আরও পড়ুন