জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হেনস্তায় অভিযুক্ত বাসচালকের সহকারীকে আটক

ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগে মৌমিতা পরিবহনের ১৭টি বাস আটক করেছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালকের সহকারী মো. আবির হোসেনকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে আটক করে ঢাকা জেলা পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (সাময়িক) অধ্যাপক আলমগীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বাসচালকের সহকারীকে আটকের খবর পাওয়ার পর মৌমিতা পরিবহনের আটক করা ১৭টি বাস আজ দুপুরে ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে মৌমিতা পরিবহনের ১৭টি বাস আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাসগুলো আটক করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

ওই নারী শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও প্রক্টরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই ছাত্রী সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে টিউশন শেষে মৌমিতা পরিবহনে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। এ সময় ভাড়া হিসেবে ১০০ টাকার একটি নোট দেন তিনি। বাসচালকের সহযোগী জানান, তাঁর কাছে ভাঙতি নেই, পরে দেবেন। পরবর্তী সময়ে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় এসে বাসটি থেমে যায় এবং যাত্রীদের জানানো হয়, বাস আর সামনে যাবে না, সবাইকে নেমে যেতে হবে। তখন ওই ছাত্রী তাঁর বাকি টাকা ফেরত চাইলে বাসের সহযোগী তাঁর সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলেন এবং বাজে ইঙ্গিত দেন। ইতিমধ্যে বাসের চালক ওই ছাত্রীকে একা বাসে রেখেই বাস চালাতে শুরু করলে ছাত্রী ভয়ে বাস থেকে ঝাঁপ দেন এবং পায়ে আঘাত পান। পরে ক্যাম্পাসে ফিরে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন।

আরও পড়ুন

এরপর গতকাল এই ঘটনার প্রতিবাদে ওই ছাত্রীর সহপাঠী এবং বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মিলে মৌমিতা পরিবহনের চালক ও সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে বাস আটক করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এরপর গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাভার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ অভিযুক্ত বাসের সহযোগী মো. আবির হোসেনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (সাময়িক) মো. আলমগীর কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বাসে হেনস্তার ঘটনার পর অভিযোগের পরপ্রেক্ষিতে ওই বাসের একজন হেল্পার আবির হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা। পুলিশ যেহেতু একজনকে ইতিমধ্যে আটক করেছে, তাই শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে।