টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের কোনো বাধা নেই: জেলা প্রশাসক

সবুজ করচগাছ আর স্বচ্ছ পানির সঙ্গে বেমানান এই হাউসবোটগুলোই চষে বেড়ায় গোটা হাওর। গত কয়েক বছরে হাউসবোট এত বেড়ে গেছে যে তাতে হুমকির মুখে পড়েছে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্যপ্রথম আলোর ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, হাওরে আর হাউসবোট যেতে পারবে না। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করেছে জেলা প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের ভ্রমণে কোনো বাধা নেই। তবে এড়িয়ে চলতে হবে কিছু এলাকা।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্বরত) মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের কোনো বাধা নেই। তবে ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় হাউসবোট আপাতত যেতে পারবে না। এ ছাড়া পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না। এ জন্য আমরা কঠোর নজরদারি রাখব।’

আরও পড়ুন

ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় হাউসবোট যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা। তিনি বলেন, ‘পর্যটকেরা বাইরে হাউসবোট রেখে স্থানীয় মানুষের হাতে বাওয়া ছোট ছোট নৌকায় করে ওই এলাকা ঘুরে দেখবেন। এ ছাড়া শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী), বারিক টিলা, জাদুকাটা নদী, শিমুলবাগান ঘুরতে পারবেন। আমরা মনে করি, হাওরে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।’

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য ‘অবশ্যপালনীয়’ ১২টি নির্দেশনা জারির এক দিন পর গতকাল রোববার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়।

সুনামগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে জেলার তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলায় এই হাওরের অবস্থান। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। এই হাওরের আয়তন ১২ হাজার ৬৫৫ হেক্টর। হাওরে ছোট–বড় ১০৯টি বিল আছে। তবে প্রধান বিল ৫৪টি। হাওরের ভেতরে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য খাল ও নালা। বর্ষায় সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তখন হাওর রূপ নেয় সমুদ্রে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন