টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিজয়ী লতিফ সিদ্দিকী

কয়েক অনুসারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী থানার সামনে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। আজ দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

কয়েক অনুসারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিজয়ী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। আজ মঙ্গলবার বেলা একটায় তিনি ওই মহাসড়কে কালিহাতী থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন। ফলে এ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

দুপুর আড়াইটার দিকে লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী অবস্থান ধর্মঘটস্থলে যান। পরে কাদের সিদ্দিকী থানার ভেতর গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

আরও পড়ুন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) হিসেবে ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট। লতিফ সিদ্দিকী এ আসন থেকে এর আগে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার নির্বাচনের দিন কালিহাতীর নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার থানায় মামলা হয়। সোমবার রাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত দুজনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা সবাই লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থক। গ্রেপ্তার অনুসারীদের মুক্তির দাবিতে লতিফ সিদ্দিকী আজ দুপুরে থানার সামনে যান। তিনি গ্রেপ্তার কর্মীদের ছেড়ে দিতে বলেন। পুলিশ তাঁদের ছেড়ে না দেওয়ায় লতিফ সিদ্দিকী থানার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় তাঁর অনুসারীরা তাঁর সঙ্গে যোগ দেন।

আরও পড়ুন

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, একজন ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লতিফ সিদ্দিকীর মহাসড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে এসপি বলেন, এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছেন। আইন নিজস্ব গতিতেই চলবে।

আরও পড়ুন

লতিফ সিদ্দিকী এর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে তিনি কালিহাতীতে গণসংযোগ শুরু করেন।

আরও পড়ুন