এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে ভবন ভাঙার কাজ করা হচ্ছে। আজ সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জের আর. কে. দাস রোডের ডালপট্টি এলাকায়
ছবি: দিনার মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জে বিস্ফোরণে পুরোনো ভবনের একাংশ ধসে পড়ার ঘটনায় ঝুঁকিপূর্ণ পুরো ভবনটি অপসারণের কাজ শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। আজ বুধবার সকাল থেকে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভবনটির মালিক ভবন অপসারণ না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মালিককে ডাকা হলেও মালিকপক্ষের কেউ সাড়া দেননি।

আরও পড়ুন

নিতাইগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর-পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ভবনটি অপসারণে এর আগে মালিককে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সিটি করপোরেশনসহ সব সরকারি সংস্থা বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনটি অপসারণ করা হবে। সেটি সরাতে মালিককে সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যবস্থা নেননি। সে কারণে আজ সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু করা হয়েছে। ভবনের যে অংশের গদিগুলো ভালো ছিল, সেগুলো থেকে মালামাল বের করে মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবনের দোতলার অংশ ভাঙা হয়ে গেছে, এখন ওপর থেকে ভাঙা অংশ সরিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা, নজর নেই রাজউকের 

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সকাল থেকেই উচ্ছেদকারী দল ধসে পড়া ভবন অপসারণে কাজ শুরু করেন। ধসে পড়া ভবনের ভেতর থেকে কোনো মালামাল সরাতে পারেননি। ভবনের ভেতরে তাঁদের কয়েক কোটি টাকার তেল, ডাল, ঘি, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য ছিল। সেগুলো না সরিয়েই ভবন এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

গত শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র নিতাইগঞ্জে ইলিয়াছ দেওয়ানের মালিকানাধীন শত বছরের পুরোনো দোতলা ভবনে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের দিনই এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. শাহজাহান খাঁ (৪০) নামের এক শ্রমিক আজ সকাল সোয়া ছয়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।