নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিবসহ ৪০১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ ৪০১ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১০১ নেতা-কর্মীর। বাকি ৩০০ জন অজ্ঞাতপরিচয়। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ষড়যন্ত্র, নাশকতা ও বিস্ফোরণ ঘটানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়।
আজ সোমবার কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক মো. তানভীর মেহেদী মামলাটি করেন। প্রধান আসামি করা হয়েছে কেন্দুয়ার সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন ভূঁইয়াকে। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য ও কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে আসামি করা রয়েছে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নিতে নেত্রকোনা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল রোববার সকালে কেন্দুয়ার সান্দিকোনা সড়ক দিয়ে রওনা হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সান্দিকোনা চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় ও তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা ঘটে। তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস বণিক ও তানভীর মেহেদী আহত হন। এ সময় পুলিশ একটি অবিস্ফোরিত ককটেল, পাঁচটি বাঁশের লাঠি, একটি দা জব্দ করে। সোমবার এসআই তানভীর মেহেদী বাদী হয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরকসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, বিএনপির লোকজনের হামলায় দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
রফিকুল ইসলাম হিলালী মুঠোফোনে বলেন, রোববার সকালে কিশোরগঞ্জে পদযাত্রায় অংশ নেওয়ার সময় পুলিশ সান্দিকোনা বাজারের চৌরাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। পরে মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে তাঁকেসহ ৪০১ জনকে আসামি করে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এসব মামলা তাঁদের কাছে নতুন কিছু নয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুধু তাঁর নামেই এমন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে ৫৩টি। এর মধ্যে নেত্রকোনায় ৩২টি মামলা ও ঢাকায় ১৪টি মামলা চলমান। আর সাতটি মামলায় আদালত খালাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এ জন্য রাজনীতি দিয়ে রাজনীতিকে মোকাবিলা করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশকে ব্যবহার করে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। হামলা-মামলা দিয়ে, হত্যা করে, গুম করে বিএনপিকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।’