বাঁশখালীতে হত্যার সময় ফেলে যাওয়া পোশাকের সূত্র ধরে খুনি গ্রেপ্তার: পুলিশ

মো. ছোটন (২৩)

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী দুদু মিয়া (৩৮) হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে মো. ছোটন (২৩) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যার সময় ফেলে যাওয়া গেঞ্জির সূত্র ধরে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার টাইম বাজার থেকে ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ছোটনের বাড়ি উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লালির বাপের নতুন বাড়ি এলাকায়। তাঁর কাছ থেকে নিহত ব্যক্তির মুঠোফোন ও ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার গন্ডামারা বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে মালামাল বিক্রির টাকা সংগ্রহ করে উপজেলা সদরে ফিরছিলেন দুদু মিয়া। তিনি গন্ডামারা সেতুর কাছাকাছি পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাঁকে আটকে ছুরিকাঘাত করে। পরে উদ্ধার করে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আকলিমা খানম থানায় হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন

দুদু মিয়া (৩৮) কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির বিক্রয় কর্মকর্তা (ফিল্ড) পদে বাঁশখালী উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর এলাকায়। কাজের সুবিধার্থে তিনি পরিবার নিয়ে বাঁশখালীর চাম্বল স্কুল রোডে একটি ভাড়াবাসায় স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার গন্ডামারা সেতুর কাছে আসতেই তিনজন দুদু মিয়ার পথ আগলে ধরে। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে সড়কের ২০-২৫ হাত দূরে নিয়ে যায়। এ সময় দুদু মিয়ার জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তখন মো. ছোটন তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। দুদু মিয়া ছোটনের গায়ের গেঞ্জি টেনে ধরেন। উপায় না দেখে ওই গেঞ্জি খুলে রেখে ফেলে চলে যান ছোটন। পরে ওই গেঞ্জির বিষয়ে আশপাশে খোঁজ নেওয়া হয়। যার সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর আসামি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে চকরিয়া হয়ে চট্টগ্রাম শহরে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। পথেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত অপর দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।