বগুড়ায় বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

মামলা
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, গাবতলী পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম, গাবতলী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. রুহুল হাসানসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, ককটেল হামলার ঘটনা পুলিশের সাজানো নাটক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করার অপকৌশল নিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গাবতলী উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে গতকাল বুধবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে গাবতলী তিন মাথা মোড় দিয়ে মিছিল করার সময় উচ্ছৃঙ্খল দলীয় নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশকে হত্যার জন্য ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়ে পুলিশের তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলার জব্দ তালিকায় একটি বিস্ফোরিত ককটেলের ১০টি কালো রঙের ছোট পাথরের টুকরা, খাকি রঙের ৫ টুকরা কাগজ, ৫০ টুকরা পাটের চিকন সুতলি ও এক গজ সাদা স্কচটেপের কথা উল্লেখ করা হয়।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ককটেল হামলার ঘটনা পুলিশের সাজানো নাটক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করতে পুলিশ অপকৌশল নিয়েছে। বিএনপির মিছিল অতিক্রম করার পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ হামলার নাটক সাজিয়েছে। বিএনপির নেতা মোর্শেদ মিল্টন দাবি করেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী লীগ চোরাগোপ্তা ককটেল হামলা করেছে। কিন্তু পুলিশ সঠিক তদন্ত না করে উল্টো ককটেল হামলার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর ককটেল হামলায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নন। কারণ, ওই সময় দলীয় কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা সুখানপুকুর বাজারে ব্যস্ত ছিলেন।