নোয়াখালীর পর লক্ষ্মীপুরেও বিকল্পধারার আবদুল মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল

বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান
ছবি: সংগৃহীত

ঋণখেলাপি হওয়ায় নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের পর লক্ষ্মীপুর-৪ আসনেও (রামগতি-কমলনগর) বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।

আবদুল মান্নান লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এ আসনে আরও দুজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এখানে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুল মান্নান মহাজোট থেকে প্রার্থী ছিলেন।

আরও পড়ুন

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নির্বাচন করতে মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে আবদুল মান্নানসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাকি দুজন হলেন স্বতন্ত্র আবদুল সাত্তার পলোয়ান ও মাহমুদুর রহমান। বাকি ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

আবদুল মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান বলেন, ঋণখেলাপির অভিযোগে আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের ভুল সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১২ জন। তাঁদের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হাশেম, মনীন্দ্র কুমার নাথ, বেলায়েত হোসেন ও রিয়াদ হোসেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম ফারুকসহ বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই শেষে বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

গতকাল নোয়াখালীতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত আবদুল মান্নানের প্রতিনিধি আইনজীবী মো. আবু সুফিয়ান খান সাংবাদিকদের বলেন, আবদুল মান্নানের সব মামলা স্থগিত এবং ঋণ হালনাগাদ রয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হবে।