এদিকে আজ বুধবার বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অহিদুল ইসলাম ও মহাসচিব এস এম শফিউল বারী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে নিজ কক্ষে সরকারি দায়িত্বপালনকালে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হায়াত সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ইউএনওর উসকানি ও নির্দেশে কতিপয় দুষ্কৃতকারী হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ইউসুফ আলীকে মারাত্মকভাবে আহত করে। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতাধীন সারা দেশের জেলা রেজিস্ট্রার ও সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবে।

রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএনওর উসকানি ও নির্দেশে কতিপয় দুষ্কৃতকারী হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ইউসুফ আলীকে মারাত্মকভাবে আহত করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও আবুল হায়াত প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিবগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রয়াত কর্মচারীর প্রতিবন্ধী মেয়ের পেনশনের দাবির আবেদন নিয়ে গতকাল দুপুরে কথা বলতে গিয়েছিলাম। ওই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তাও ছিলেন। সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী এ সময় অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমি এর প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা ঘটে বেলা একটা থেকে দেড়টার মধ্যে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁর (সাবরেজিস্ট্রার) ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

ইউএনও বলেন, ‘তাঁর ওপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে আমাদের সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই কার্যালয়ে তাঁর (সাবরেজিস্ট্রার) নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।’