ঈশ্বরদীতে রিকশাচালককে গুলি করা যুবলীগ নেতার ভাইয়ের পিস্তল উদ্ধার

রিমান্ডে আনোয়ার হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে
ছবি: প্রথম আলো

পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে (২০) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার ভাই আনোয়ার হোসেনের ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন দিনের রিমান্ডে আনোয়ার হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মামুন হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি ইব্রাহীম হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার সকালে পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী নিজ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এ সময় অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনকেও সেখানে হাজির করা হয়। আনোয়ার হোসেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ আসামিদের ধরতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে একটি দল কাজ করছিল। তারা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। পরে মামলার আসামি আনোয়ার হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে তাঁর দেওয়া তথ্যে একটি বিদেশি পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল বিকেলে মামলার ৪ নম্বর আসামি ইব্রাহীম হোসেনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আদালত–২–এ হাজির করা হলে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, মামলার বিষয়ে পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। দ্রুত মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষ হওয়ায় আজ আনোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন
ছবি: প্রথম আলো

৪ জানুয়ারি রাতে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত নছিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবি, তাঁদের মধ্যে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে রিকশাচালক মামুন হোসেন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি ও সুমন হোসেন নামের আরও দুজন আহত হন।

এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে গুলি করার হুকুম দেওয়ার অভিযোগে প্রধান আসামি এবং তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন