আটক ব্যক্তিই মা ও মেয়েকে হত্যা করেছেন: নোয়াখালীর পুলিশ সুপার

নোয়াখালীতে বাসায় ঢুকে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ সুপারের ব্রিফিং। বুধবার সন্ধ্যায় সুধারাম থানার সামনে
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালী শহরের বার্লিংটন মোড় এলাকায় বাসায় ঢুকে মা ও এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সকালে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে তখন ওই ব্যক্তির পরিচয় জানায়নি পুলিশ। ওই ব্যক্তিই বাসায় ঢুকে মা ও মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সুধারাম থানার সামনে সংবাদ ব্রিফিং করে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এ দাবি করেন। আটক ওই ব্যক্তির নাম মো. আলতাফ হোসেন। বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর মেহের গ্রামে। তিনি ওমানপ্রবাসী ছিলেন। আটক আলতাফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন
গ্রেপ্তার আলতাফ হোসেন
ছবি: প্রথম আলো

ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের দাবি, আজ সকালে মা-মেয়েকে হত্যার পর ঘটনাস্থলের পাশের সড়ক থেকে মো. আলতাফ হোসেন (২৮) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি নিজে মা ও মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে মায়ের হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওই ছাত্রীকে হত্যা করেন বলে আসামি জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, মা ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় আলতাফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত চলমান। এ ঘটনায় মামলা করাসহ অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন
নিহত মা নুর নাহার বেগম (ডানে) ও মেয়ে ফাতেমা আজিম
ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, আজ সকাল ১০টার দিকে শহরের বার্লিংটন মোড় এলাকায় বাসায় ঢুকে ওই এলাকার ফজলে আজিম ওরফে কচির স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৪০) ও তাঁর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে ফাতেমা আজিম ওরফে প্রিয়ন্তীকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে নুর নাহার ঘটনাস্থলে মারা যান। তাঁর মেয়ে ফাতেমাকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।