ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৫৪টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে সিল মারার অভিযোগ

ঝালকাঠি-২ আসনের নলছিটি উপজেলার মগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল
ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে নলছিটি মগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হকের বিরুদ্ধে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫৪টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বন্ধ রাখেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম। এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অভিযোগে উল্লেখ করেন, ভোটকেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে নলছিটি মগড় ইউপির চেয়ারম্যান প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫৪টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারেন। উল্লেখিত ব্যালট বই নম্বর ২০৬৫। এতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, নলছিটি মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। তিনি মগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার বলেন, মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাঁর কাছ থেকে ৫৪টি ব্যালট পেপার জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে একটি প্রতীকে সিল মারেন। তিনি বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত আকারে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকার পর আবার চালু করা হয়। জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার আফরুজুল হক ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আবার ভোট গ্রহণ শুরু করার নির্দেশ দেন।

মগড় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ  মিথ্যা। আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য এ অভিযোগ করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম বলেন, মগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুপুর পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে আবার চালু করা হয়। এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।