তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই তরুণের লাশ হস্তান্তর

আবদুল জলিল ও ইয়াসিন আলীছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি তরুণ ইয়াসিন আলী (২৩) ও আবদুল জলিলের (২৪) লাশ দুই দিন পর ফেরত দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় তেঁতুলিয়া মডেল থানা-পুলিশের কাছে লাশ দুটি হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসি দেওয়া থানা-পুলিশ।

লাশ হস্তান্তরের সময় বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত দুই তরুণের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ নিহত ইয়াসিন আলী ও আবদুল জলিলের স্বজনদের কাছে লাশ দুটি হস্তান্তর করে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পঞ্চগড় ১৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ইয়াসিন আলী উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ব্রহ্মতল এলাকার কিতাব আলীর ছেলে। আবদুল জলিল একই উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের মাগুরা এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

আরও পড়ুন

বিজিবি, স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর তেঁতুলিয়ার খয়খাটপাড়া সীমান্ত এলাকার ৪৪৬ নম্বর মেইন পিলারের ১৪ (আর) এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে ওই দুই তরুণ নিহত হন। ঘটনার পর বুধবার ভোরে বিএসএফের ১৭৬ ব্যাটালিয়নের ফকিরপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের লাশ নিয়ে যান এবং ভারতের ফাঁসি দেওয়া থানা–পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন। ঘটনার সময় ওই দুই তরুণের সঙ্গে থাকা অন্যরা পালিয়ে এসে বিষয়টি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে জানান। পরে তাঁরা জনপ্রতিনিধি ও বিজিবিকে বিষয়টি জানান।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে ও দুপুরে ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের দুই দফায় পতাকা বৈঠক হয়। এ বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত চাওয়া হয়। দুপুরে দ্বিতীয় দফায় ব্যটালিয়ন পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে বিএসএফ এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। এ ছাড়া ময়নাতদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বিএসএফ।

আরও পড়ুন

তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের ফাঁসি দেওয়া থানা–পুলিশ, বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে দুই তরুণের লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পরে দুই পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনেরা লাশ দুটি বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

নিহত ইয়াসিন আলীর নানি হালিমা বেগম আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ফেরত পাওয়ার পর ইয়াসিনের লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে। সন্ধ্যার পর জানাজা শেষে ব্রহ্মতল এলাকার পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে।