সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিএনপির ৩৯৯ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আওয়ামী লীগ– বিএনপি সংঘর্ষের সময় ভাংচুর করা মোটরসাইকেল। পাশে লাঠি হাতে একপক্ষের কর্মীরা। গতকাল রোববার বিকেলে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সিঅ্যান্ডবি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এজাহারে আসামি হিসেবে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওরফে মনি, তাঁর ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক ও সদস্যসচিব এম কামরুল ইসলামসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে।

আজ সোমবার দুপুরে পাথরঘাটা থানায় মামলাটি করেন উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু। পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

ওসি আবুল বাশার বলেন, মামলায় পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়নের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বেআইনি জমায়েত, হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বরগুনা-২ (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলামের ছোট ভাই সাইফুল ইসলামকে।

এদিকে গতকাল রোববার সংঘর্ষের ঘটনায় আটক পাঁচ ছাত্রদল নেতাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা হলেন বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফাইজুল মালেক, পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব খাইরুল ইসলাম, রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন, পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য মো. শাওন ও রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য মো. হাসিব।

মামলার বাদী কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, ঢাকা-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কপথে রায়হানপুর ইউনিয়নের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র হাতে অরাজকতা সৃষ্টি করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এ সময় মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা হামলা-অরাজকতা করলাম কোথায়? এমপি সাহেবকে (সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম) অভ্যর্থনা জানাতে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে উল্টো আমাদের নামেই মামলা করা হয়েছে। এখন তারা আমাদের নামে মামলা করলে আমাদের তো করার কিছু নাই। কারণ, আমরা মারও খেয়েছি আর মার খেয়ে এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আগে আমরা সুস্থ হয়ে নিই তারপর সব বলব।’