জামালপুরে বন্যার পানি নামছে, ঘরে ফিরছেন মানুষ

যমুনা নদীর পানি ঘরবাড়ি থেকে নামতে শুরু করেছে। সোমবার সকালে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের শঙ্করপুর এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৮টি করে মোট ১৬টি ইউনিয়ন এবং দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার আংশিক বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তাই বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হয়।

জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৭ আগস্ট থেকে যমুনার পানি বেড়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিনাডুলী, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, পলবান্দা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, চরআমখাওয়া, ডাংধরা, পাররামরামপুর, হাতিভাঙ্গা ও পৌরসভার আংশিক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ৪২ হাজার ৪২০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিলেন। গতকাল রোববার বিকেল থেকে এসব এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ফলে যেসব মানুষ বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উঁচু রাস্তার ওপর ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন

আজ সকাল ১০টার দিকে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এখন বিপৎসীমার সমান সমান ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে পানি নামতে আরও একটু সময় লাগবে।

জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বন্যায় দুটি উপজেলার ১০ হাজার ৪০ হেক্টর জমির রোপা আমনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১ হাজার ৬১ হেক্টর জমির রোপা আমনের আংশিক পানিতে তলিয়ে ছিল। ২৭টি গরুর খামারে পানি উঠেছিল। এতে ৫টি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। ৪৭ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা পানিতে তলিয়ে ছিল। প্লাবিত হয়েছিল ২৫টি বিদ্যালয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এখনো অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন