ঝিনাইদহে তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটক দুই
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা হানিফ আলীসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের সার্কিট হাউস এলাকা এবং গাজীপুরের সোনাতলা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবু সাঈদ (৩৯) ও জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনারুল ইসলাম (৩৬)। ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ জানান, পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানেফ আলী, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা শহরের সার্কিট হাউসসংলগ্ন এলাকা থেকে আবু সাঈদকে আটক করা হয়। ঠিক একই সময় র্যাবের পৃথক দল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করে। তাঁদের শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর ত্রিবেণি শ্মশান খাল এলাকায় দুই সহযোগীসহ গুলিতে নিহত হন হানেফ আলী (৫৬) ও তাঁর দুই সহযোগী। বাকি দুজন হলেন হানেফের শ্যালক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন হোসেন (৩৫) ও কুষ্টিয়া পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম (২৫)। ওই রাতেই হত্যার দায় স্বীকার করে চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু পরিচয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। যদিও এ বার্তা নিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন হানেফ আলীর ভাই ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আটক আনারুল অস্ত্র, হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় অনেক বছর জেল খেটে কয়েক মাস আগে বের হন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ধারণা করছি, আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনারুল।’