শিক্ষক দম্পতির হত্যার বিচার দাবিতে সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গাজীপুরের শিক্ষক দম্পতি এ কে এম জিয়াউর রহমান ও মাহমুদা আক্তার হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গীর বিসিক ও মধুমিতা সড়কে পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
জিয়াউর রহমান (৫১) টঙ্গী বিসিক এলাকার শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। আর তাঁর স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫) ছিলেন টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার সকালে খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দুই দিন পরও মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। নিহত শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বড় ভাই আতিকুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে।
সকালে সরেজমিন দেখা যায়, টঙ্গী বিসিক এলাকায় শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ে মানববন্ধনের জন্য জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে তারা বিদ্যালয়ের সামনের একটি সড়কের দুই পাশে ব্যানার, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ায়। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
একইভাবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর মধুমিতা এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে আমজাদ আলী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আশপাশের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, জিয়াউর রহমান ও মাহমুদা আক্তার শিক্ষক হিসেবে সবার কাছে প্রিয় ছিলেন। তাঁরা মিশুক ছিলেন। অনেক যত্ন নিয়ে পড়াতেন। কে বা কারা তাঁদের হত্যা করেছে, এর দ্রুত তদন্ত হোক। বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাবাসসুম বলে, ‘স্যার আমাদের গণিত পড়াতেন। খুব সহজ করে আমাদের অঙ্ক বোঝাতেন। কখনো আমাদের সঙ্গে রাগ করে কথা বলেননি। কিন্তু স্যারের এ ঘটনার আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি। আমরা চাই যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত বিচার হোক।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মর্মাহত। আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার হোক। নইলে আমরা অন্য শিক্ষকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব।’