ঢাকায় নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতার দাফন হোমনায় সম্পন্ন, জানাজায় মানুষের ঢল
কুমিল্লার হোমনায় গ্রামের বাড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বাদ মাগরিব হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কলাগাছিয়া-কৃষ্ণপুর গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হোমনার কৃষ্ণপুর গ্রামে জোবায়েদের মরদেহ নিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি পৌঁছায়। তাঁর নিথর দেহ একনজর দেখার জন্য মানুষ ভিড় করতে থাকেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে ওঠে। জোবায়েদকে দেখতে আসা লোকজনের অনেকের চোখে অশ্রু দেখা যায়। পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানাজার আগে মো. জোবায়েদ হোসেনের হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আশরাফুল আলম, ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলী আকাশ, অবসরপ্রাপ্ত সচিব আবদুল মতিন, হোমনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জামায়াতে ইসলামী হোমনা উপজেলা শাখার আমির মাওলানা মো. সাইদুল হক, হোমনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, নিহত জোবায়েদ হোসেনের চাচা, হোমনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জোবায়েদ হোসেন হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেউ ঘরে ফিরবেন না। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার আইনে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জোবায়েদের হত্যাকারীদের বিচার তাঁরা দেখতে চান। সেই সঙ্গে জোবায়েদের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল আলম বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী বাবার কাঁধে ছেলের লাশ। জোবায়েদ একজন নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর শোক যেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা সইতে পারেন।
গতকাল রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।