প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীতে মামলার আবেদন

রাজবাড়ী জেলার মানচিত্র

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে মামলার আবেদন করেছেন পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জালাল উদ্দিন বিশ্বাস রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলি আদালতে মামলার আবেদন করেন।

জালাল পাংশা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তাঁর বাড়ি পাংশা উপজেলা শহরের গুধিবাড়ি গ্রামে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আদালতে মামলার আবেদন করেছি। তবে এখনো আদালতের আদেশ পাইনি।’

মামলার আরজিতে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আবু সাঈদ ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯ মে বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবচর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। আবু সাঈদ চাঁদ সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, ভীতি প্রদর্শনসহ সাইবার কার্যক্রম অপরাধ সংঘঠন করেন। এ ছাড়া আবু সাঈদ চাঁদ জনসমক্ষে বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানো হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানো হবে এবং তাঁকে পদত্যাগ করানোর জন্য যা যা প্রয়োজন, তা আমরা করব।’ এ বক্তব্য আসামিরা নিজ নিজ স্মার্টফোনের অ্যাপসের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এতে বাদীসহ আওয়ামী লীগের বহু নেতা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় জীবন যাপন করছেন।

আরও পড়ুন

এর আগে একই অভিযোগে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী ২ নম্বর আমলি আদালতে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা (টিপু) মামলার আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন আবেদনটি আমলে নিয়ে কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই মামলাতেও আবু সাঈদ চাঁদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় মোট ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।