ফরিদপুরে কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

আন্দোলনকারীরা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। আজ শনিবার ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকায়ছবি: আলীমুজ্জামান

রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চন্দনা ও ভাঙ্গা কমিউটার ট্রেন ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন অবরোধ করে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ কর্মসূচি পালনের সময় আন্দোলনকারীরা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন।

সেই সঙ্গে দাবি বাস্তবায়নে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন তাঁরা। ফরিদপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোর সোয়া পাঁচটা থেকে দাবির পক্ষে রেলস্টেশনে লোকজন জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৫টা ৩৮ মিনিটে চন্দনা কমিউটার ট্রেন ফরিদপুর অতিক্রম করার আগে তাঁরা কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেলপথের ওপর শুয়ে পড়েন। এ সময় তাঁরা চন্দনা কমিউটার ট্রেনের বিরতির দাবিতে নানা স্লোগান দেন।

সেখানে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, আবরার নাদিম, শরীফ খান, রুমন চৌধুরী, তুহিন বিন আলমগীরসহ প্রমুখ। তাঁরা বলেন, ৫ মে একই দাবিতে মানববন্ধনের পর তাঁরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল করে দাবির কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এতে কর্ণপাত করেনি। এ কারণে আজ তাঁরা আবার আন্দোলনে নেমেছেন।

বিক্ষুব্ধ লোকজনের দাবির মুখে ফরিদপুর রেলস্টেশনের মাস্টার তাকদির হোসেন রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার সুমনকে ফোন করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। আনোয়ার সুমন এ বিষয়ে তাঁদের লিখিত আবেদন পাঠাতে বলেন।

ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে ঢাকাগামী চন্দনা কমিউটার ট্রেন অবরোধ করে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

আন্দোলনকারীরা জানান, এর আগেও একবার তাঁদের দাবিসংবলিত আবেদন ই-মেইলে পাকশী বিভাগীয় দপ্তরে পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দাবি না মানা হলে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে যাবেন।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ রাখার পর আন্দোলনকারীরা সরে দাঁড়ালে ট্রেনটি ভাঙ্গা স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

আরও পড়ুন

৫ মে থেকে রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চন্দনা কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে মাঝপথে ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো যাত্রাবিরতি না থাকায় স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হন। ওই দিনই ভোরে ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে চন্দনা কমিউটার ট্রেন অবরোধ করেছিলেন তাঁরা।