চুয়াডাঙ্গায় আনন্দ আড্ডায় চলছে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
একুশে পদক পাওয়া বাউল খোদা বকশ সাঁইজীর জেলা চুয়াডাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। আজ রোববার সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদরের ঘোড়ামারা এলাকায় অবস্থিত ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে এ আনন্দ আড্ডা ও উৎসব।
এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জেলার ১ হাজার ১০৯ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। সকাল আটটায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলে সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে কৃতী শিক্ষার্থীদের অনেকেই পৌঁছে যায় অনুষ্ঠানস্থলে। অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের অভিভাবকও এসেছেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের আনন্দ আড্ডা দিতে ও সেলফি তুলতে দেখা যায়। কৃতী শিক্ষার্থী মো. কামরুল ইসলাম বলে, ‘এমন সুন্দর আয়োজন করার জন্য প্রথম আলোর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আগামী দিনগুলোতেও প্রথম আলোকে এভাবে পাশে চাই।’
অনুষ্ঠানস্থলে এসে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট বুথের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সনদ, ক্রেস্ট ও স্ন্যাক্স বক্স সংগ্রহ করে। সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অতিথি, কৃতী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা দাঁড়িয়ে এতে গলা মেলান। চুয়াডাঙ্গা বন্ধুসভার সদস্য নুসরাত জাহান করবীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম। শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে মঞ্চে বক্তৃতা করেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর উপাচার্য মোফাজ্জেল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক মো. হাসানুজ্জামান হাসান, প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি প্রমুখ।
সারা দেশের ৮৪ জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতীয় শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা উৎসব। আয়োজনটিতে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা। সংবর্ধনাকে ঘিরে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। কৃতী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে হয়েছে আরও প্রাণবন্ত। চিকিৎসা সহায়তায় আছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. সাজিদ হাসান, উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা আশরাফুল হক, রুহিনা সানজিদ আরা তাহমিন ও সাবিনা ইয়াসমিন।
ছেলের সঙ্গে অনুষ্ঠানে আসা অভিভাবক আসমাউল হুসনা খন্দকার বলেন, ‘আমাদের সময় এমন আয়োজন না থাকায় অতৃপ্তি ছিল। তবে, ছেলে সে সুযোগ পাওয়ায় অন্য রকম ভালো লাগছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘ভেন্যু হিসেবে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ আমাদের বেছে নেওয়ায় বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা চাই, আগামী দিনগুলোতে প্রথম আলোর ভালো কাজের সহযোগী হতে।’
শিক্ষার্থীদের এ সাফল্য উদ্যাপন করতে সাংস্কৃতিক পর্বে থাকছে শান্ত আহম্মেদ, নুসরাত জানান, আরাফাত ফাগুন ও বলাকা ঘোষের নানা পরিবেশনা। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে চলছে কৃতী শিক্ষার্থী ও বন্ধুসভার সদস্যদের অংশগ্রহণে নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে কৃতী শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট, সনদপত্র, কলম, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস ) ও চরকির (১৫ দিন) ফ্রি সাবস্ক্রিপশন এবং ‘শিখো’র সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্সসহ অন্যান্য উপহার।